, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভারাটে লোক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা

  • আপলোড সময় : ১৯-১১-২০২৩ ০৪:৪০:৩৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-১১-২০২৩ ০৪:৪০:৩৬ অপরাহ্ন
চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভারাটে লোক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা
চিলমারী(কুড়িগ্রাম) থেকে: কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের চিকিৎসা সেবায় ভাড়াটে লোক ব্যবহার করার ঘটনা এ যেন নতুন কোন বিষয় নয়। এই হাসপাতালে অবকাঠামো, চিকিৎসা সেবা ঔষধ সহ বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে রয়েছে একাধিক অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২৬জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তাসহ ৮জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের দায়িত্ব থাকা ডা. রবিউল ইসলাম প্রায় সময় হাসপাতাল চত্বরে না থেকে রংপুরে অবস্থান করেও ফোনে চিলমারীতে আছেন বলে দাবী করেন। এ সুযোগে বিভিন্ন সময়ে ভাড়াটে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়ে থাকে। এতে সুস্থ না হয়ে বরং রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সরেজমিনে, শনিবার রোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের চেয়ারে তাজউদ্দীন নামের এক যুবক বসে আছেন। জানতে চাইলে তিনি নিজে ডিএমএফ শিক্ষার্থী বলে দাবী করেন। তাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাতে জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালনের জন্য বলেছেন। তিনি আরও জানান, মাঝে মধ্যেই তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও হাসপাতালের চিকিৎসক-গন নিজেদের সুবিধা মতো রোস্টার নামের তালিকা তৈরী করে রোগীদের নামে প্রতারণা করারও অভিযোগ রয়েছে। 

সংবাদ কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে রাতের রোস্টার ভুক্ত জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আবু হাসান শাহরিয়ার রিফাত হাসপাতালে এসে সাংবাদিকদের সাথে বাকবিতন্ডায় জরিয়ে পড়েন।

এসময় মুঠোফোনে আবাসিক মেডিকেল অফিসার  (আরএমও) রবিউল ইসলাম জানান, তাজউদ্দীনকে কিছুক্ষণের জন্য রেখে ডা. রিফাত রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। আরএমও সাহেবকে জরুরি বিভাগে আসতে বললে তিনি চিলমারীতে না থেকেও কোয়াটারে আছেন বলে দাবী করেন। বারবার ডাকা সত্বেও তিনি জরুরি বিভাগে আসেননি। ফোনে কথা বলার এক পর্যায়ে কুড়িগ্রামে অবস্থান করছেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, ডা. রিফাতের ব্যক্তিগত সমস্যা থাকায় কিছু সময়ের জন্য তাজউদ্দীনকে রাখা হয়েছিল। ভবিষ্যতে এমন কাজ হবেনা বলেও জানান তিনি।

ভাড়াটে লোক দিয়ে চিকিৎসা প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. এ মোর্শেদ বলেন, কাল অফিসে এসে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।